আব্দুল্লাহ আল হাসিব: স্নিগ্ধ শীতের সকালে, পড়ন্ত দুপুরে কিংবা আবছায়া গোধূলির ফুরফুর মেজাজে পিঠা খেতে কার না ভালো লাগে! শুধু এক প্রকার নয়, হরেক রকমের পিঠার আয়োজন যদি হয়ে থাকে কোনো স্টলে! হ্যাঁ, এমনই আয়োজন ছিলো রাজধানীর অন্যতম সেরা আলহাজ্ব মকবুল হোসেন কলেজে।
দিনব্যাপী পিঠা উৎসবের এবারের প্রতিপাদ্য “নতুন ধান, নতুন প্রানে, চলো মাতি পিঠার গানে”। রবিবার (২২ জানুয়ারি) বিবিএ প্রফেশনাল ডিপার্টমেন্টের আয়োজনে কলেজের দ্বিতীয় ভবনে এই পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
সকালে পিঠা উৎসবের শুভ উদ্বোধন করেন কলেজের এইচএসসি কোর্স পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক রোজিনা ইয়াসমিন ও সহযোগী অধ্যাপক আইনুন নাহার সুলতানা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে কলেজের অধ্যক্ষ আ ফ ম রেজাউল হাসান এর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন জেবা খানম।
এছাড়া উদ্বোধনকালে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ- পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (প্রফেশনাল) মোঃ শাহানুর রহমান সা’দ।
বিবিএ (প্রফেশনাল) বিভাগের প্রধান সানজিদা সাঈদ বর্ষা এর নেতৃত্বে বিবিএ ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে মোট সাতটি স্টল অংশগ্রহণ করে। পিঠা উৎসবকে কেন্দ্র করে বিবিএ বিভাগ সাজানো হয়েছে বর্নিল সাজে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ধারণ করা নানা রং ও বাহারি স্বাদের পিঠা স্থান পেয়েছে এসব দোকানে। এর মধ্যে রয়েছে পুলিপিঠা, ক্ষীর পুলি, পাটিসাপটা, রসের পিঠা, সাজের পিঠা, পানি পুরী, ভাপা পিঠা, গোলাপ পিঠা, সেমাই পিঠা, কস্তুরি পিঠা, রঙবাহার, লিচু ও গোলাপ, জামদানী পিঠা, কুটুম পিঠা, মিষ্টি বড়া, আন্দুসা, দর্শন, ভাজা নকশি, মিষ্টি পুলি, ভেজানো নকশি, কুসুম কুসুম, বিবিখানা, লবঙ্গ লতিকা, সোহাগী বড়া, রসের নকশি বিলাস, সুন্দরী কমলা সহ ছিলো নানা ধরনের নকশি পিঠা।
পিঠা উৎসবের বিচারক হিসেব দায়িত্ব পালন করেন সহযোগী অধ্যাপক শর্মিলা চক্রবর্তী, সহযোগী অধ্যাপক আইনুননাহার সুলতানা, সহযোগী অধ্যাপক সরকার আজিজুন নাহার।
প্রতিযোগিতায় ১ম হয়েছে স্টল- শখের হাড়ির রসের পিঠা (১ম সেমিস্টার), ২য় হয়েছে- স্টল- পঞ্চদেশের পিঠা ভান্ডার (৭ম সেমিস্টার), ৩য় হয়েছে স্টল- প্রজাপতি পিঠা ঘর (৪র্থ সেমিস্টার)।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হিসাববিজ্ঞান বিভাগের প্রধান মোঃ সফিউদ্দিন বিশ্বাস, বাংলা বিভাগের প্রধান মোত্তাসিদা খানম, ইসলামের ইতিহাস বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম, সিএসই বিভাগের প্রধান মোঃ নজরুল ইসলাম, ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রধান সৈয়দ মুহাম্মদ ইউসুফ, সমাজকর্ম বিভাগের প্রধান আঃ হাই সরকার, অর্থনীতি বিভাগের প্রধান ফাতেমা আক্তার, মার্কেটিং বিভাগের প্রধান শরিফুল ইসলাম, মুজিববর্ষ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক শর্মিলা চক্রবর্তী সহ অন্যান্যরা।
অনুষ্ঠান আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতায় ছিলো বিবিএ ড্রিমল্যান্ড ক্লাব। ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কানিজ ফাতেমা কান্তা, সাধারণ সম্পাদক রইছউদ্দীন রছি সহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply