ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের তাণ্ডবে দেশের ফলের রাজা আম চাষীদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আম্ফানের আঘাতে কৃষকদের গাছের আম এখন মাটিতে। ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও সাতক্ষীরার অসংখ্য আমগাছ উপড়ে গেছে। নষ্ট হয়েছে প্রচুর পরিমাণ আম।
ঘূর্ণিঝড় আম্পানে রাজশাহীর আম বাগানগুলোর ব্যাপক মাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক শামসুল হক বলেন, রাতেই বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নিয়ে আমরাই জেলা প্রশাসককে জানিয়েছিলাম যে, ২০ শতাংশ আম ঝরে পড়েছে। তবে সকালে আমরা বিভিন্ন বাগান পরিদর্শন করে দেখেছি ক্ষতির পরিমাণ আরেকটু কম। শহরে ১০ শতাংশ এবং অন্য উপজেলাগুলোতে ১৫ শতাংশ আম ঝরে পড়ার দৃশ্য দেখেছি।
একই শ’ঙ্কায় সাতক্ষীরার আমচাষীরাও। ঘূর্ণিঝড় আম্পান উপকূলীয় এ জে’লা’টিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত চিত্র পেতে আরও কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে।
জে’লা’টিতে চলতি মৌসুমে জে’লার সাতটি উপজে’লায় প্রায় চার হাজার ১১৫ হেক্টর জমিতে ৫ হাজার ২৯৯টি আম বাগানে আম চাষ হচ্ছে। ১৩ হাজারের বেশি চাষী আম উৎপাদনের সঙ্গে জ’ড়িত। চলতি মৌসুমে জে’লা’টিতে আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪০ হাজার মেট্রিক টন।
এসব আমের মধ্যে আগামী ৩১ মে থেকে হিমসাগর, ৭ জুন ল্যাংড়া ও ১৫ জুন থেকে আম্রপালি আম বাজারজাতকরণের প্রস্তুতি চলছিল। এরমধ্যে ‘আম্পান’ এসে হিসেব এলোমেলো করে দিয়েছে। আমচাষীদের কপালে এখন চিন্তার ভাঁজ।
এ অবস্থায় এ বছর আমের যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল তা পূরণ হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
Leave a Reply