বরিশাল প্রতিনিধি: শিশু দিবসে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু মেডিসিন ওয়ার্ডে ছয় মাস বয়সী শিশুর সাথে অমানবিক আচরনের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে শিশুর পিতার উপর রাগ করে স্যালাইন দেয়ার সময় ছয় মাসের শিশুটির শরীরে কয়েকবার সুইচ ফোটায় নার্সিং সুইপাভাইজার জেসিমন আক্তার। এ ঘটনায় নার্সের হাত চেপে ধরার অপরাধে পিতাকে মাফ চাইয়েছেন সেখানকার চিকিৎসক ও নার্সরা।
শিশুটির পিতা আবু সাইদ বলেন, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত তার শিশু কন্যাকে গত ১৩ মার্চ মেডিকেলের শিশু বিভাগে ভর্তি করান। গতকাল বৃহস্পতিবার নির্ধারিত সময়ে স্যালাইন দেয়ার জন্য অভিযুক্ত নার্স জেসমিনকে অনুরোধ জানান। কিন্তু তার অনুরোধ উপেক্ষিত হলে তিনি কয়েকবার অনুরোধ জানান। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে নার্স জেসমিন সিরিঞ্জ নিয়ে আসেন। এরপর পিতার ক্ষোভ ঝাড়তে ছয় মাসের রাফা মনির শরীরে ক্যানুলায় ইনজেকশন পুশ না করে কয়েকবার সুইচ ফোটান।
সাইদের অভিযোগ তার উপর ক্ষুব্ধ হয়ে নার্স ইচ্ছাকৃতভাবে তার শিশুটির শরীরে ৩/৪ বার সুইচ ফোটান। যা পূর্বে হয়নি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি নার্সের হাত চেপে ধরেন। এ সময় নার্স ডাক-চিৎকার দিলে সেখানকার পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এক পর্যায়ে শিশু বিভাগের চিকিৎসক নুুরুল আলম ঘটনাস্থলে এসে কোন কথা না শুনে রাফা মনির বাবা সাইদকে নার্স জেসমিনের নিকট ক্ষমা চাইতে বলেন। তার অপরাধ কি জানতে চাইলে কোন সদুত্তর না দিয়ে তাকে ক্ষমা চাওয়ার জন্য চেপে ধরা হয়। এক পর্যায়ে সাইদ অভিযুক্ত নার্স জেসমিনের নিকট ক্ষমা চেয়ে শিশু কন্যার নাম কাটিয়ে সেখান থেকে চলে আসেন।
তবে নার্সিং সুইপাভাইজার জেসিমন আক্তার জানান, ইনজেকশন পুশ করতে গিয়ে কয়েকবার সুইচ ফোটাতে হয়েছে। ইচ্ছে করে এটা করা হয়নি। এদিকে হাসপাতালের পরিচালক এইচএম সাইফুল ইসলাম জানান, বিষয়টির আমি খোজ নিয়ে দেখছি।
Leave a Reply